সিলেটকে দেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগে অংশ হিসেবে এই ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালু করা হলো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওয়াইফাই সংযোগ চালু করা এলাকাগুলোতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ইউজার নেইম ও ‘জয় বাংলা’ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে যে কেউ এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
এর আগে গত বছর জুলাইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল সিলেট প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ওইদিন দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়নাধীন ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ‘পাবলিক ওয়াইফাই জোন’ ও ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বলিত আইপি ক্যামেরা বেজড সার্ভেলেন্স সিস্টেম’ এবং তথ্য কমিশনের উদ্যোগে বাস্তবায়িত ‘তথ্য অধিকার (আরটিআই) অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম’ এর পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১১০টি ফেস রিকগনিশন ও যানবাহনের নাম্বার প্লেট চিহ্নিতকরণ আইপি ক্যামেরা বসানো হয়।
এবার ওয়াইফাই জোন চালু করা হলো। কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়িত এই ওয়াইফাই জোনগুলো সিলেট সিটি করপোরেশন তদারকি করবে।
নগরীর যেসব স্থানে ওয়াইফাই জোন:
চৌকিদেখিতে একটি, আম্বরখানা পয়েন্টে চারটি, দরগা গেইটে দুটি, চৌহাট্টায় তিনটি, জিন্দাবাজারে চারটি, বন্দরবাজার ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় তিনটি, হাসান মার্কেট এলাকায় পাঁচটি, সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউস এলাকায় দুটি, সার্কিট-হাউস জালালাবাদ পার্ক এলাকায় তিনটি, কিন ব্রিজের দুই প্রান্তে ছয়টি, রেলওয়ে স্টেশনে চারটি, বাস টার্মিনালে তিনটি, কদমতলী পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি, হুমায়ুন রশীদ চত্বরে তিনটি, আলমপুর পাসপোর্ট অফিস এলাকায় দুটি, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এলাকায় তিনটি, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে দুটি, উপশহর রোজভিউ পয়েন্টে দুটি, শাহজালাল উপশহর ই-ব্লক ও বি-ব্লকে একটি করে দুটি, টিলাগড় পয়েন্টে তিনটি, এমসি কলেজ এলাকায় দুটি, শাহী ঈদগাহ এলাকায় তিনটি, কুমারপাড়া এলাকায় তিনটি, কুমারপাড়া সড়কে দুটি, দক্ষিণ বালুচরে একটি, টিচার্স ট্রেনিং কলেজে একটি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে একটি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।
এছাড়াও সিলেট নগরীর নাইওরপুল পয়েন্টে দুটি, মিরাবাজার সড়কে একটি, রায়নগর এলাকায় একটি, সোবহানীঘাট পুলিশ স্টেশন এলাকায় দুটি, ধোপাদিঘীরপাড় বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানে একটি, বন্দরবাজার জামে মসজিদ এলাকায় দুটি, নয়াসড়ক পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় চারটি, কাজীটুলা এলাকায় দুটি, চৌহাট্টা সড়কে তিনটি, হাউজিং এস্টেট সড়কে একটি, সুবিদবাজারে একটি, মিরের ময়দানে একটি, পুলিশ লাইন সড়কে একটি, রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে দুটি, মদন মোহন কলেজ এলাকায় একটি, মির্জাজাঙ্গাল সড়ক এলাকায় দুটি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট এলাকায় একটি, খুলিয়াপাড়া এলাকায় একটি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকায় একটি, তালতলা হোটেল গুলশান এলাকায় একটি, কাজিরবাজার সেতু এলাকায় একটি, কাজিরবাজার সড়কে দুটি, খোজারখলা সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় একটি, বাগবাড়ি ওয়াপদা মহল্লা এলাকায় একটি, পাঠানটুলায় একটি, মদিনা মার্কেট পয়েন্টে দুটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে দুটি এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় একটি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এসব এক্সেস পয়েন্টের প্রতিটিতে একসাথে ৫০০ জন যুক্ত থাকতে পারবেন। এর মধ্যে একসাথে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ মেগাবাইট-সেকেন্ড।